বগুড়ার শিবগঞ্জে পুলিশের ব্যবস্থাপনায় এক ব্যক্তিকে দাফন করা হয়েছে। সন্দেহ করা হচ্ছে, তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। শনিবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার ময়দানহাট্রা ইউনিয়নের পাকুড়তলা মাজারের পাশে তার দাফন সম্পন্ন হয়। এসময় বগুড়ার সহকারি পুলিশ সুপার খুদরত ই খুদা শুভ, শিবগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমেদ রিজু, শিবগঞ্জ থানার ওসি মিজানুর রহমানসহ কয়েকজন পুলিশ সদস্য উপস্থিত ছিলেন। এ সময় মৃতের আত্বীয়-স্বজন সহ এলাকাবাসীকে দাফনে অংশ নিতে দেখা যায়নি।
দাফন শেষে পুলিশ সুপার (শিবগঞ্জ-সোনাতলা সার্কেল) খুদরত ই খুদা শুভ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন।
তিনি লিখেছেন, ‘একটি লাশ দাফন করে এভাবে স্ট্যাটাস দিয়ে জানাতে হবে তা কখনো ভাবিনি। মানুষের মাঝে মানবিকতা জাগাতে এতটা গলদঘর্ম হতে হবে, তা কখনো জানা ছিল না।’
তিনি আরো লিখেছেন, ‘সকাল থেকেই নানা বাধা-বিপত্তি আর নানা নাটকীয়তার অবসান ঘটিয়ে রাত পৌনে ৮টার সময় যথাযথ কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মেনে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ সাপেক্ষে পুলিশের উদ্যোগে লাশের দাফন সম্পন্ন করা হলো। দাফনকাজে বাধা দেয়ার খবর শোনা মাত্রই এলাকার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য অতিরিক্ত দুই প্লাটুন স্পেশাল আর্মড ফোর্স প্রেরণ করা হয়। কয়েকজন দুষ্ট লোক এলাকায় ভুল বুঝিয়ে কয়েক হাজার লোক জড়ো করেন। শিবগঞ্জ থানার ওসি মিজানুর রহমান মানুষকে বুঝিয়ে ঘরে ফেরান। কিন্তু কবর খোড়ার লোক কোথায়? শিবগঞ্জ থানার সেকেন্ড অফিসার এস আই মোস্তাফিজ আর এস আই আহসান আরো দুই জনকে সাথে নিয়ে শুরু করেন কবর খোঁড়া। অবশেষে লাশ দাফন হলো। একজন ব্যক্তি পেল তার মৃতদেহের সঠিক মর্যাদা। আমরা দূর থেকে দাঁড়িয়ে দোয়া পড়লাম।’
তবে মৃত ব্যক্তির স্ত্রী সাজেদা বেগম জানান, জানাযার সময় আমাদের কাউকে সেখানে যেতে দেয়া হয়নি। একই কথা বলেছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তার এক ভাগ্নে।